সিঁদুর’ নিয়ে মিথ্যাচারে ইসলামাবাদ


সম্প্রতি ইসলামাবাদ থেকে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যেখানে ‘সিঁদুর’ ব্যবহারের প্রথাকে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের মাধ্যমে একটি ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা দেখা গেছে। পাকিস্তানের একটি প্রভাবশালী অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দাবি করা হয়, ‘সিঁদুর’ আসলে হিন্দু নারীদের নিপীড়নের প্রতীক এবং এটি ইসলামিক সমাজে ঢুকে পড়ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অংশ হিসেবে।

এই বক্তব্য ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ এবং ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত করার প্রয়াস।

‘সিঁদুর’ মূলত হিন্দু নারীদের এক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিচয়, যা বিবাহিত অবস্থার প্রতীক। এটি একান্তই ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অংশ। ইসলামী সমাজে এর কোনও ধর্মীয় মূল্যায়ন না থাকলেও, এটি নিয়ে নেতিবাচক প্রচার সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিমা পারভীন বলেন, “একটি সমাজ বা ধর্মের চর্চা অন্যের উপর চাপিয়ে না দিয়ে, পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রাখাই উচিত। এমন বিভ্রান্তিকর প্রচার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়িয়ে তোলে।”

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বহু সাংস্কৃতিক রীতির মত, ‘সিঁদুর’ নিজস্ব ঐতিহ্যে অবস্থান করে। ইসলামাবাদের এমন অপপ্রচারে শুধু একটি সংস্কৃতিকে অপমানই করা হয়নি, বরং ধর্মীয় সহাবস্থানের ধারণাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

**শেষ কথা:**
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদকে সম্মান জানিয়ে সকলের উচিত গঠনমূলক আলোচনা ও সহনশীলতা বজায় রাখা। ভিন্ন ধর্মের প্রথা নিয়ে অপপ্রচার কখনোই সমাজে শান্তি আনে না, বরং বিভেদ তৈরি করে। ইসলামাবাদের এ ধরনের মিথ্যাচার তারই এক দৃষ্টান্ত ।